রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মর্মে ট্যুইট করে দাবি করেছেন যে, '‘রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য, ঋণের বোঝা ছাড়িয়েছে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ফের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে ঋণ দেওয়ার আবেদন করেছে মমতা সরকার।’’
আরও পড়ুন - মঙ্গলবার থেকে ফের 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প, তার আগেই নিজের বড় দাবি পেশ সুকান্ত মজুমদারের
advertisement
ট্যুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ট্যাগ করে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন, ‘‘আরবিআই যেন রাজ্য সরকারের এই দশ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদনে সাড়া না দেয়, যদি এই ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করবে রাজ্য সরকার।’’ রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে শুভেন্দু ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের প্রতি বছর কী ভাবে রাজ্যের নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে তা তুলে ধরেন ট্যুইটে। ট্যুইটারে রাজ্যের অর্থ সচিবকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন - T20 WC: ভাই-ভাইয়ে প্রেম! বিরাট ও সূর্যের ইনস্টাগ্রাম ভালবাসা সুপার ভাইরাল
তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য যে ঋণের আবেদন করেছে সেটা রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য হলেও আদতে তা খরচ করা হবে সরকারি কর্মীদের বেতন এবং লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য।’’ শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক অভিযোগ,' রাজ্যে অনেক ভুয়ো সরকারি কর্মী রয়েছেন এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেও এমন অনেক নাম রয়েছে যাঁরা টাকা পেতে পারেন না। রাজ্য ঋণের টাকা পেলে সরকারি কোষাগারের অর্থ অপচয় হবে বলেও দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এর আগে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা (যেগুলি ১০০ শতাংশ ভার কেন্দ্র বহন করে) সেগুলি এই পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে আসে। শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, 'এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একটি অংশের টাকা তুলে নিয়ে রাজ্যের ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডের অ্যাকাউন্টে ফেলা হচ্ছে এবং পরে তা অন্যান্য কাজে বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রক যেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেয়। এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ অপচয় করার কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন যেন মঞ্জুর না করা হয় তার আবেদন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। Venkateswar Lahiri