#কলকাতা: ইস্যুটা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ। পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যাদবপুর থেকে ভবানীপুরের জগুবাবুর বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার বেলা গড়াতেই তাই যাদবপুর থেকে পায়ে পায়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জড়ো হওয়া, এগিয়ে চলা। তৃণমূলের বিশাল মিছিলের বহরে রাস্তার এক দিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। স্লথ হয়ে যায় যানবাহনের গতি। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান। অন্য দিকে পোস্টার ও ব্যানারে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ছিল তীব্র শ্লেষ। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় মনীশ গুপ্ত, জাভেদ খান, দেবাশীষ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রতন দে-র মতো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের।
advertisement
যাদবপুর থেকে শুরু হয়ে ঢাকুরিয়া, গোলপার্ক, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী হয়ে প্রতিবাদ মিছিল যত এগিয়েছে, স্লোগানে স্লোগানে আক্রমণের সুর চড়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের ট্রেডমার্ক হতে বসা 'খেলা হবে' স্লোগানের মধ্যেই মিছিল থেকে সুর চড়ানো হয়েছে দলত্যাগী নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। একটা সময় তো ভিড়ের মধ্যে থেকে ক্রমাগত স্লোগান উঠতে শুরু করে,"চোর চোর চোট্টা/ শিশিরবাবুর ছেলেটা।" তৃণমূলের নেতৃত্বের অদূরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এই স্লোগানে তখন কান পাতা দায়। নাম উল্লেখ না থাকলেও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আক্রমণের নিশানা ছিল স্পষ্ট।
কিন্তু প্রতিবাদ মিছিলে এই ধরনের স্লোগান কেন? দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন," এত বড় মিছিলে কোথায় কোন ব্যক্তি সমষ্টি কী স্লোগান দিচ্ছে, তা ঠাহর করা মুশকিল।" একইসঙ্গে মালা রায়ের সংযোজন, "তবে যে কোনও স্লোগানে শালীনতা বজায় রাখাটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। আমাদের দলের মিছিল থেকে এমন কোনও স্লোগান দেওয়া হয় না, যা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।"
তবে তৃণমূল নেতৃত্ব যে সাফাই দিন না কেন, প্রতিবাদ মিছিল থেকে এই ধরনের স্লোগান রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।