ট্যুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২০-র বিরোধিতা আসলে কুমিরের কান্না। এটা আসলে কলকাতার এক প্রাইভেট প্লেয়ার, যারা সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ মাশুল নেয়, তাঁদের রক্ষা করার কৌশল। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যেই এই বিরোধিতা। প্রতিযোগিতা করতে হলে বিদ্যুৎ মাশুল কমানোর দিকে করুন।'
প্রসঙ্গত, নয়া বিদ্যুৎ আইনের খসড়া বলছে, বিদ্যুত বিলের পুরো টাকাটাই প্রথমে গ্রাহকদের দিয়ে দিতে হবে। পরে ভর্তুকির টাকা তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত পাবেন। কিন্তু এর ফলে বহু গ্রাহক টাকার অভাবে ঠিক সময়ে বিল মেটাতে পারবেন না বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদিকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের গরিবদের অনেকেরই বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা পড়বে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, সংবিধানে বিদ্যুৎ(Electricity) একটি যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই বিল পাশের ফলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য ক্ষতিকর। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘২০২০ সালের ১২ জুন চিঠি লিখে আমি ওই বিতর্কিত বিলে খামতির দিকগুলি আপনার কাছে তুলে ধরেছিলাম’। এবার মমতাকেই পাল্টা বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী।
