জবাবে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘উনি তো এস্টাবলিশড লায়ার।’’ বিজেপি কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে হস্তক্ষেপ করে না বলে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘আমি ওনাকে বলবো যে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যাওয়ার প্রতিবাদে সিজিও কমপ্লেক্সে ধর্নায় বসুন। এর আগে যেভাবে আপনি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের জন্য ধর্না এবং ফিরহাদ হাকিমের ও অন্যান্যদের গ্রেফতারের সময় সিজিও কমপ্লেক্সে আইন ভেঙে আন্দোলন করেছিলেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ২৭ অক্টোবর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সুগার রয়েছে, ওনার মৃত্যু হলে বিজেপির বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ওনার যদি মনে হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউকে হেনস্তা করছে তার জন্য উনি শীর্ষ আদালতে যান না। তা না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইডি কিংবা সিবিআই তদন্তে গেলেই চোরেদের বাঁচাতে সরব হচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন-আইনস্টাইন ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলেছিলেন, বিগ বুলরাও বেদবাক্য মানেন, আপনি বিনিয়োগে এটা মানেন তো?
কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপির ডাকাতদের বাড়ি যাচ্ছে না? সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ ব্যাপারে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই এখন অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছেন।’’ এদিকে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ইডির তদন্তকারীরা যান চিকিৎসাধীন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলায় তা করা যায়নি। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, ‘‘দিনের পর দিন সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ ভর্তি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। ওনার কি হয়েছে? আমরা জানতে চাই।’’