২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, কলকাতা হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত সর্বতো ভাবে সঠিক। আইনের ধারা অপব্যবহার করে মোট ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ অনৈতিক ভাবে করেছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর, আমি বেআইনি ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে বলব, সময় থাকতে মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপের আগেই নিজেরাই পদত্যাগ করুন। এতে আপনাদের সম্মানটুকু অন্তত বাঁচবে।’’
advertisement
সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করেছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ১২ সেপ্টেম্বর সেই মামলার রায়ে জানিয়ে দেয়, সোনালিকে দ্বিতীয় বার উপাচার্য পদে পুনর্বহালের এক্তিয়ার রাজ্যের নেই। আদালত সোনালিকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারিতও করে। এর পরই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যান সোনালি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারও এ নিয়ে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে।
ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। মঙ্গলবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সঠিক। আদালত এ-ও জানিয়েছে যে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে ধারা রয়েছে, তার অপব্যবহার করে ওই নিয়াগ করেছে রাজ্য। আর তা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল, তাঁর ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে'। বলাবাহুল্য, আচার্যের অনুমতির বিরুদ্ধাচারণ করে রাজ্যের এক্তিয়ার নেই উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ৷
আরও পড়ুন- ‘আমাদের দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে, সতর্ক থাকতে হবে...’ মন্তব্য তাপস রায়ের
তাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসাবে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্বহাল অবৈধ। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এমনই নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই মর্মে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারও ৷ ২০২১ সালের ২৭ অগাস্ট সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে পুনর্নিয়োগ করে রাজ্য এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন সোনালি।