শুভেন্দু অধিকারী এই পোস্টে আরও লিখেছেন, “মমতা পুলিশ মনে করছে আমাকে বাধা দিয়ে বোধহয় রানিমার কাছে নিজেদের নম্বর বেড়ে গেল, তাই এবার অতি উৎসাহিত হয়ে আগামী ২১শে মে আমার দার্জিলিং এর নির্ধারিত জনসভাও বন্ধ করার জন্য অভিনব ফন্দি এঁটেছে’।
আরও পড়ুন: ‘সন্তু’ কে…? কার শাগরেদ? বিস্ফোরক তাপস মণ্ডল! আরও বড় শোরগোল ফেললেন কুন্তল
advertisement
শুভেন্দুর কথায়,’ দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে, যেখানে আমার নির্ধারিত সভাস্থল সেখানে সভার অনুমতি প্রদানের পূর্ব শর্ত হিসেবে নাকি ১৫টা সিন্ডিকেট এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থার যেমন পূর্ত দফতর, পৌরসভা ইত্যাদির কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) দাখিল করতে হবে। বেশ, আমার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে একটা প্রশ্ন রয়েছে:-দিন কয়েক আগে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলির সাথে ভারতের অন্যান্য অংশের অন্যতম সংযোগকারী জাতীয় সড়ক – NH12; ৭২ ঘণ্টারও বেশি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। আঞ্চলিক তৃণমূল দলের কর্মসূচি, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার, মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা-সহ একাধিক জায়গায় এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের ওপরেই অনুষ্ঠিত হয়।”
অভিষেকের নাম না করে এরপরেই তাঁকে নিশানা করে শুভেন্দু লেখেন, “এই কর্মসূচি পালন করার অনুমতি প্রদানের সময়, ন্যশনাল হাইওয়ে অথোরিটি (NHAI)র কাছ থেকে প্রাপ্ত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) টা নেওয়া হয়েছিল কি? যদি নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সেই অনুমতি পত্র সর্বসমক্ষে প্রকাশ করুক। যদি প্রকাশ করতে অসমর্থ হয় তাহলে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে পুলিশ প্রশাসনের এই ভন্ডামি ও দ্বিচারিতা উন্মোচিত হবে, এবং প্রমাণ হবে যে পুলিশ এখন আইনের রক্ষক নয়, আঞ্চলিক তোলামূল দলের এক শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে’।
আরও পড়ুন: শরীর খারাপ নিয়ে বলতে গিয়ে আদালতে অবাক ‘আবদার’ অনুব্রতর! কী বললেন কেষ্ট? তাজ্জব সবাই
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন,’পুলিশ প্রশাসনকে বলব, মনে রাখবেন দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে যদি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি-র সভা না হয়, তবে ভবিষ্যৎ এ আপনাদের এই চিঠিটিকে নজির মেনে, নজর রাখবো, অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সেই স্থানে সভা করার আবেদন পত্রে আপনাদের বলে দেওয়া এই সকল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) দাখিল করতে পেরেছে কিনা। আমাকে যে মমতা পুলিশ ও তাদের ‘রাজনৈতিক মনিব’ এত ভয় পায় তা জেনে কিন্তু বেশ ভাল লাগল; ‘ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা….’।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী