শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনে দুই বিধায়ককে ডেকে কোনও অন্যায় করা হয়নি বলেও স্পষ্ট জানান বিরোধী দলনেতা। সরকার পক্ষকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘দুই বিধায়কের উচিৎ নাচতে নাচতে গিয়ে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করে আসা। ২১ সালে আমরা বিধায়ক হয়েছি। সেই সময়ে বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় আমাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। যদি রাজভবনের পক্ষ থেকে তখন আমাদের রাজভবনে গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করার কথা বলা হত আমরা আগে গিয়ে সেখানে শপথ বাক্য পাঠ করতাম।’’
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৮ জুন; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য রাজভবনে যেতে বিধায়কদের ‘ভয়’ পাওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেন রাজ্যপালকে যিনি নিয়োগ করেছেন সেই রাষ্ট্রপতির কাছে তাহলে চিঠি লিখছেন না? প্রধানমন্ত্রীকেও বা তিনি কেন লিখছেন না যে রাজ্যপালকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক? অন্যরা তো কেউ রাজভবনে যেতে ‘ভয়’ পাচ্ছেন না, তাহলে তৃণমূলের এত ভয় কেন?’’
আরও পড়ুন- স্বাদে চিনির মতোই মিষ্টি, লিচুর মতো দেখতে অথচ আকারে ছোট এই ফলটির ঔষধি গুণ অতুলনীয়
প্রসঙ্গত, বুধবার দুই জয়ী বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবনে যেতে বলা হয়। তবে রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ নেবেন বলে জানান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। রাজ্যপাল বিধানসভায় না আসায় বিধানসভাতেই ধরনায় বসেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারও আম্বেদকরের মূর্তির নিচে অবস্থানে বসেন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক। বুধবারই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই জটিলতা না কাটলে প্রয়োজনে তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখবেন। সেই কথা মতোই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিল রাজ্য বিধানসভা। শপথ জট কাটাতে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কাছেও।
বিধানসভায় এসে রাজ্যপালই দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দিন, সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহে এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের পাশেই দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।