নবান্ন অভিযান দিয়ে শুরু। পর্ব শেষ হবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ করে। সেই লক্ষ্যেই নবান্ন অভিযানকে সফল করতে জোর কদমে নেমেছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির নবান্ন অভিযানে অন্যতম সেনাপতির ভূমিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছি থেকে যে মিছিল করে নবান্ন অভিযানে আসবে বিজেপি কর্মীরা, তার নেতৃত্বে থাকার কথা শুভেন্দুর। কিন্তু মঙ্গলবার বেহালা থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সময় আটকে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। আর এরপরই চরম ক্ষোভ দেখিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় শুভেন্দুর।
advertisement
আরও পড়ুন- বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন রাস্তায় বাসের দেখা নেই, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে যে ব্যারিকেড করে পুলিশ, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘এখনই হাইকোর্টে ফোন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়। আমি বিরোধী দলনেতা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানো হচ্ছে। ভয় পেয়েছে মমতা, ক্ষেপে গেছে জনতা।'' এর কিছুক্ষণ পরেই শুভেন্দুকে আটক করে পুলিশ। যা দেখে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এ বিরোধী দলনেতা। যে বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠে গেল। আসলে ও একটা আলুভাতে, সখী। ওর খালি মুখে মারিতং জগৎ। আর বারবার পুলিশকে বলছে, ডোন্ট টাচ মি, ডোন্ট টাচ মি।
যতগুলো ক্যামেরা ছিল সেই সময় পর্যন্ত ওর নার্ভ কাজ করল না। আমরা তো ভেবেছিলাম পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে৷ এতো দেখলাম হাঁটতে হাঁটতে লজ্জাবতী লতা হয়ে উঠে গেল। এই আলুভাতে বিরোধী দলনেতার ভরসায় বিজেপি কর্মীরা আন্দোলন করতে এসেছিল? এর শেখা উচিৎ বিরোধী রাজনীতি করা।’’