আরও পড়ুন– আজ মণিপুর যাচ্ছেন না তৃণমূলের ৫ সাংসদ, শেষ মুহূর্তে স্থগিত সফর
শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সকালে গণনা ইচ্ছে করে ২-৩ ঘণ্টা দেরিতে শুরু করা হয়, এবং ঘন ঘন বিনা কারণে গণনা বিলম্বিত করা হয় যাতে, যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা শুরু হবে, তখন যেন মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল হয়ে যাওয়ার পর সেই সব এলাকার প্রার্থীরা তাদের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। তাই যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের আসনের গণনা মধ্য রাতে চলছে, তখন হাতে গোনা কয়েকজন বিরোধী প্রার্থী উপস্থিত রয়েছেন। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে চলছে ব্যাপক সন্ত্রাস। বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়, হয় ভুলভাল ফলাফল মেনে নিন নয়তো বাড়ি ফিরবেন কী করে!’’
advertisement
আরও পড়ুন- প্রবল বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তরবঙ্গ ! বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গেও, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘একটা বিষয় লক্ষণীয় যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল বিরোধীদের পক্ষে গিয়েছে, সেখানেই নাকি শাসক দল ওপর দুই স্তরে ব্যাপক ভোট পেয়েছে। এটা হাস্যকর। অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার খুঁটিনাটি সম্বন্ধে অবগত নন। বিশেষ করে গণনা কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ সম্বন্ধে তো একেবারেই নন ৷’’
শাসকদল তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিরোধীদের দাবি ছিল, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের গণনা এক সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে সম্পন্ন করানোর, অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা একই সঙ্গে করতে হবে, কিন্তু এই দলদাস প্রশাসন রাজি হয়নি। কারণ স্পষ্ট, গণনার নামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে পুকুর চুরি করা। এই ১১ তারিখ যদি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনের গণনা একই সঙ্গে হত, তৃণমূল অন্তত ৫ টি জেলা পরিষদ হারত এবং প্রচুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করত।’’