তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ওদের কার্যপদ্ধতি কর্পোরেট কোম্পানির মতো। আমরা চাই সবাই ভোটে লড়াই করুক। একজন জিতবে অন্যজন হারবে। গণতন্ত্রে এটাই কাম্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান না বিরোধী কেউ থাকুক। গত কাঁথি পুরসভা থেকে অন্যান্য যে কোনও নির্বাচনে কেউ কি নিজের ভোট দিতে পেরেছেন? প্রশ্ন তুলে রীতিমতো আক্রমণাত্মক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, 'সন্ত্রাস, রিগিং ও বুথ জ্যাম ওদের রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে যদি ওরা (তৃণমূল) ফের সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করে। এবার প্রতিরোধ করবে মানুষ।’’
advertisement
আরও পড়ুন- ১০ লক্ষে সরকারি চাকরির টোপ, সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণ! হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তখন আর সে ভাবে কর্মীদের একত্র করার সুযোগ নাও মিলতে পারে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাই পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু কথা দলের সর্বস্তরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ৮ সেপ্টেম্বর বলবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বৈঠকে সাংসদ, বিধায়কদের পাশাপাশি ডাকা হয়েছে, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যদেরও। দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নানান দুর্নীতি ইস্যুতে রীতিমত অস্বস্তিকর অবস্থা বর্তমানে শাসকদলের। এই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের ঠিক এক দিন আগেই তিনি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের সচিব পর্যায়ের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে তিনি গ্রামীণ স্তরের উন্নয়নের খতিয়ান নেবেন ওই আধিকারিকদের কাছ থেকে বলে খবর। তার ঠিক পরের দিনই নিজের দলের নেতৃত্বদের দাওয়াই বাতলে দেবেন মমতা-অভিষেক বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই বৈঠক নিয়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু।
বলাবাহুল্য, আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কলকাতার রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেনে প্রস্তুতি বৈঠকে বসতে চলেছে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্য ও পদাধিকারীরা।