ইতিমধ্যেই বিস্তারিত উল্লেখ করে তথ্য জানার অধিকার আইনে বৃহস্পতিবার আরটিআই করে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি মনোজ পন্থকে নবান্নে ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী উত্তরের জন্য একমাস অপেক্ষা করব। জানি উত্তর পাবো না।’’
আরও পড়ুন- গরুপাচারের তদন্তে নয়া মোড়, আপাতত রাজ্য পুলিশ তদন্ত করতে পারবে না, নির্দেশ আদালতের
advertisement
উত্তর না পেলে পরবর্তী কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার ফের তাঁর নিশানায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ যে সমস্ত প্রকল্পগুলি রয়েছে সেই সব বিভিন্ন প্রকল্পে ঘুরপথে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ করছে। যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ।’’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দুটি ট্যুইট করে তিনি এ ব্যাপারে তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) তাঁর করা আবেদন পত্র ও সেই আবেদন পত্র ডাকযোগে পাঠানোর প্রমাণের ছবি পোস্ট করেন ৷ সঙ্গে দাবি করে লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারে এখনও এমন কিছু আধিকারিক আছেন, যাঁরা এখনও পদের মর্যাদা রেখে কাজ করেন ৷ তাঁদের থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বেআইনি ভাবে ঘুরপথে রাজ্যের প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরের ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘‘একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট রিলিফ ফান্ডের জন্য রাজ্যের একটি নোডাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৷ ওই ব্যাঙ্কেই আবার রাজ্যের জরুরি ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।’’
কেন্দ্রের টাকা ঘুরপথে রাজ্যের জন্য ব্যবহারের ব্যবস্থা করতেই এই কাজ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘পুজো মিটলেই আমি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করে সব প্রামাণ্য নথি তাঁর হাতেও সরাসরি তুলে দেব।’’