সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে এ দিন বিধানসভায় হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ছিলেন বিরোধী দলনেতাও৷ অধিবেশনের বিরতিতে মার্শাল দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও নিজের সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল এবং অশোক লাহিড়িকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান শুভেন্দু৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই আসেন মনোজ টিগ্গাও৷
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় অবদান, মমতাকে ডি লিট সম্মান দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স
advertisement
সূত্রের খবর, ঘরে ঢুকতেই শুভেন্দুকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেমন আছিস?' জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'ভাল আছি৷' এর পরেই মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন শুভেন্দুও৷ শুভেন্দুর দেখাদেখি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন অগ্নিমিত্রা পালও৷ সূত্রের খবর, শুধু শুভেন্দু নয়, তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর কুশল সংবাদও নেন মমতা৷
এর মধ্যেই সবার জন্য চা চলে আসে৷ কিন্তু তখনই বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধের অধিবেশন শুরুর ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় দ্রুত বেরিয়ে আসতে হয় সবাইকে৷ মুখ্যমন্ত্রীর পিছনেই বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রারা৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রতীক কাড়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, পাল্টা 'অরণ্যদেব' কটাক্ষ কুণালের
এর পরেও অবশ্য চমকের বাকি ছিল৷ অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে ভাই বলে সম্বোধন করেন৷ শুভেন্দুর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে খানিকটা আফসোসের সুরেই যেন তিনি বলেন, 'যাকে একসময় ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম তিনি বলছেন আমাদের সরকার অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি, ফর দ্য পার্টি হয়ে গিয়েছে৷'
সৌজন্যের পাল্টা সৌজন্য দেখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও৷ বিরোধী দলনেতাও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য দেখালে এবং তাঁদের থেকে সহযোগিতা চাইলে তাঁরাও পিছপা হবেন না৷ শুক্রবার বিধানসভার এই ঘটনা ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে, নাকি বাংলার রাজনীতির পরিচয় হয় উঠবে, তা হয়তো সময়ই বলবে৷