কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় 'চোর ধরো,জেল ভরো' কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবার মুখে মুখে এখন একটাই স্লোগান, 'তৃণমূলের সবাই চোর'। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সবাই 'চোর' মানতে রাজি নন। দুর্নীতি, তোলাবাজি, কেলেঙ্কারি অনিয়ম-সহ নানান ইস্যুতে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের বোমা ফাটিয়েই চলেছেন শুভেন্দু। কিন্তু নিজের পুরনো দল তৃণমূলের সবাই 'চোর' দলের নেতাদের এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,' তৃণমূলের ২৫ শতাংশ 'চোর'। আর বাকি ৭৫ শতাংশই 'ডাকাত'।
advertisement
আরও পড়ুন- বারবার কনভয়ে ট্রাকের ধাক্কা! শুভেন্দুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আদালতে বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ওই দুই নেতা বা অন্যান্য তৃণমূলীরা যে বলছেন তৃণমূলের সবাই 'চোর' নয়, তা তাঁরা ঠিকই বলছেন। কারণ তাঁদের দলে শুধু চোর নেই, আছে ডাকাতও'। প্রসঙ্গত, ''পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষক নিয়োগ মামলা সামনে আসার পর সুযোগ বুঝে সবাই অপমান করছেন। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তৃণমূলের ১৯ জনের নাম। পার্থ যা করেছেন, তার জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত। আমি এই পার্থকে চিনতাম না। তবে তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের সবাই চোর। তৃণমূল করা মানেই চোর নয়। দল এরকম কাজকে সমর্থন করে না'' এই মন্তব্য করে ফিরহাদ হাকিমের দাবি ছিল, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় পার্টি হিসেবে ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘রোজগার করা কোনও অন্যায় নয়। ববি হাকিম কোনওদিন কোনও টাকা নেয়নি। আসলে এই মামলা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নয়, এটা পলিটিক্যাল ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। তৃণমূলের সবাই চোর নয়।’ আর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা জবাব, ‘‘তৃণমূলের সবাই চোর নয়। দলে ৭৫ শতাংশ ডাকাতও আছে।’’