প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির হন সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভি। গ্রুপ-ডি র দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন, আদালত সবরকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। সিট প্রধানকে উদ্দেশ্য করে সোমবার এমনই মন্তব্য ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। আদালতে এদিন অশ্বিন শেনভি জানালেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে ৯ হাজার OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে। মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। আদালতে জানালেন অশ্বিন শেনভি।
advertisement
আরও পড়ুন-‘আমি আগেই বলেছিলাম ৩০ হাজার বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে’: শুভেন্দু অধিকারী
‘‘যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে তারা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন। তারা জানতে চায় না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল ? তারা চায় শুধু নিয়োগপত্র ’’, -মন্তব্য বিচারপতির।
বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতির তদন্ত - বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। এবার তদন্ত - বিচার তার লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে শুধুমাত্র র্যাঙ্ক-জাম্পিং-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল, কিন্তু গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর OMR শিটের বিষয়টি সামনে আসে এবং তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। আমরা সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কী ভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে।’’ - আদালতে সওয়াল সিটপ্রধান শেনভির।
এই প্রসঙ্গেই ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, সিট প্রধানের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি আগেই বলেছিলাম মোটা টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা তিরিশ হাজার জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করিয়েছে। তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। যারা দুর্নীতি করেছে তারা কেউ পার পাবে না। বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের সেই ভরসা আছে।’’