সোমবার শুভেন্দুকে তাপস রায়ের তৃণমূল ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ”তাপস রায় আমাদের রাজ্যের খুব সিনিয়র নেতা। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৪-৫ বারের বিধায়ক। তাপস রায়ের দল ও বিধায়ক পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দিতে আবেদন করেন, তা দলে আলোচনা করে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।”
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীতে কোন সবজি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়? হলফ করে বলা যায়, বিশ্বাসই হবে না শুনে
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন তাপস রায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের অস্বস্তি কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন তাপস রায়৷ বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘চারদিকেই শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি৷ বিশেষত সন্দেশখালির ঘটনা আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়েছিল৷ মনে হয়েছিল এই দল আমার জন্য নয়৷‘
আরও পড়ুন: প্রার্থী করেনি বিজেপি, তারপরই কোথায় গেলেন জন বার্লা! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন
শুধু তাই নয়, গত ১২ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছন তাপস রায়৷ বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দলেরই কয়েকজন আমার বাড়িতে ইডি-কে পাঠিয়েছিল৷ সেদিন অন্যান্য দলের সব নেতারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ অথচ আজ ৫২ দিন ধরে আমার দল আমার পাশে দাঁড়ায়নি৷ একটা কথাও কেউ বলেননি৷ এমন কি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এই ৫২ দিনে আমাকে একটা ফোন করেননি, বা আমাকে ডাকেননি৷ আমার স্ত্রী, মেয়েকে সান্ত্বনা পর্যন্ত দেননি৷ তাঁরা ওই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল৷’
তৃণমূল সূত্রে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, তাপস রায়ের বাড়়িতে ইডি হানার পর তাঁর ফোন ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ দিন দুয়েক পরে ফোন দুটি চালু হলে দলের পক্ষ থেকে তাপস রায়ের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়৷ কিন্তু তখনই তাপসের কথায় দলীয় নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছিল যে কোনও রকম চাপে পড়েই তিনি তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন৷