এই পরিস্থিতিতে এবার আসরে নেমেছে তৃণমূলও। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ”যদি বলো Justice for RG Kor, তোমার আমার একই স্বর। যদি বলো Resign Mamata, বুঝে নেবে জনতা। ন্যায়বিচার না ইস্তফা, কোনটা দাবি? ন্যায়বিচার হলে সবাই আছি। ইস্তফার রাজনীতি হলে, ময়দানে দেখা হবে।” এখানেই শেষ নয়, পরে আর একটি ট্যুইট করে কুণাল লেখেন, ”বিজেপি, আরএসএসের নেতৃত্বে সিপিএম, ডিওয়াই এফ, এসএফআই, কংগ্রেস বকলমে নবান্নের দিকে যাবে? কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া যাদের জমানায়, তারা প্ররোচনা দিচ্ছে রাজনৈতিক গোলমালের। গুলির কথাও বলছে। শকুনের রাজনীতির চক্রান্ত। মানুষ ন্যায়বিচার চান, কুরাজনীতি নয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য, জমা পড়ল হলফনামাও
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ অগাস্ট ‘নবান্ন চলো অভিযান’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপও চেয়েছে রাজ্য সরকার। পুরো বিষয়টি একটা গুরুতর জায়গায় পৌঁছেছে। প্রতিবাদ, মিছিল, মিটিং নিয়ে রাজ্য হলফনামাও জমা দেয় শীর্ষ আদালতে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ অগাস্ট মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেদিনের নবান্ন অভিযানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে সব বাড়ি থেকে একজন করে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে তিনি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নবান্ন অভিযানের দিন একদিকে পুলিশকে সংযত থাকার বার্তা আর অন্যদিকে সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলনেতার বার্তা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন না। ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন কোনও বল প্রয়োগ করবেন না, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাবেন না, গুলিও চালাবেন না।’’ অর্থাৎ, আরজি কর আবহে এবার নবান্ন অভিযান নিয়ে পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।