পুলিশের অনুমান, প্রমাণ লোপাটের জন্যই বিছানার চাদর সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে মৃত যুবকের দুই সঙ্গী৷ পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রাহুলের দাদার পরিচয়পত্র দিয়ে ওই হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল৷ বর্তমানে রাহুলের দাদা ওড়িশায় রয়েছেন৷
শুক্রবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলের তিন তলার ঘরের ভিতর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ বক্স খাটের ভিতরে ওই যুবকের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা ছিল৷ পচা গন্ধ বেরনোর পর মৃতদেহের খোঁজ মেলে৷
advertisement
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২২ অক্টোবর বিকেলে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলে রাহুল এবং তাঁর দুই সঙ্গী হোটেলের ওই ঘর বুক করেন৷ কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাহুলের দুই সঙ্গী হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান৷ পরের দিন ২৩ তারিখ সকালে ঘর সাফাই করেন কর্মীরা। দুপুরে হোটেলের ওই ৩০২ নম্বর রুম ভাড়া দেওয়া হয় অন্য অতিথিকে। তখনও ঘরের ভিতরে থাকা বক্স খাটের ভিতরে রাহুল লালের দেহ। সেই ঘরেই রাতভর ছিলেন নতুন অতিথি৷
২৪ তারিখ সকাল থেকে পচা গন্ধ পেয়ে হোটেল কর্মীদের জানান ওই ব্যক্তি।হোটেল কর্মীরা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও প্রথমে কিছুই পাননি। পরবর্তীতে খাটের ভিতরে দেহ দেখতে পাওয়া যায়৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে রাহুলকে সংজ্ঞাহীন করেই খুন করা হয়েছে৷
জানা যায়, মৃত যুবকের নাম রাহুল লাল৷ তিনি কলকাতার পিকনিক গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা৷ রাহুলের মামা এ দিন দাবি করেন, রাহুলের দাদাকে গতকালই খবর দেওয়া হলেও তিনি শনিবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতায় আসেননি৷ রাহুলের মামাই জানিয়েছেন, মৃতের দাদার পরিচয়পত্র দিয়েই হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, রাহুলের বিরুদ্ধেও অতীতে পুলিশের খাতায় ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মৃতের মামা৷
পুলিশের ধারণা, খুনিরা দু জনেই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা৷ ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশের একটি দল ওড়িশায় গিয়েছে৷
