এদিন তাঁর দিল্লি যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে গিয়ে সুনিশ্চিত করব, যাতে যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফেক জব কার্ড ইস্যু করেছে, তারা আইনের আওতায় আসে। তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা হয়। জব কার্ড ইস্যুয়িং অথরিটি হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান, আর DDO হচ্ছে জেলাশাসক। আমি চেষ্টা করব দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সচিবের মতো যাঁরা মনরেগা থেকে টাকা লুট করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মানুষ চাকরি পাচ্ছে না..আর ক্লাব পিছু ৭০ হাজার!’, আদালতে বিস্ফোরক বিচারপতি, তুমুল ভর্ৎসনা
এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি ৩২ লক্ষ ‘ফেক জব কার্ড’ তৈরি করা হয়েছে৷ এই দুর্নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রের টাকা লুট হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা যারা টাকা তুলেছে, তারা দেশের টাকা লুটেছে৷ সম্পদ চুরি করেছে৷ ট্যাক্সের জিএসটির টাকা লুট করেছে৷ এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠিন কঠোর ব্যবস্থা হয়, এই জন্যই দিল্লি যাত্রা।’’
তবে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে তাঁর দেখা করা হবে না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘‘গিরিরাজ সিংহের দেখা করার প্রশ্ন নেই। উনি বাইরে থাকবেন বলে দিয়েছেন। কাল সন্ধে ৬ টায় এমওএস সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে কৃষি ভবনে ওঁদের (তৃণমূল) সঙ্গে দেখা করবে। তার আগে আমার সঙ্গে মাননীয় এমওএস-এর মিটিং হবে। কৃষি ভবনে ৪টের সময়।’’
শুভেন্দুর দাবি,বহু অযোগ্যদের প্রথমে জব কার্ড প্রাপকের তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে খতিয়ে দেখা যায়, এমন অনেকেই তালিকায় আছেন, যাঁদের জব কার্ড পাওয়ার কথাই নয়। তিনি জানান, যোগ্য জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়েবিজেপির আপত্তি নেই। তবে বিজেপি যে কোনও রকমের ‘চুরি’ আটকাতে চায়। তাঁর দাবি, ১ কোটি ৩২ লক্ষ ফেক জব কার্ড হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তিনি জানান, ‘‘আমি দিল্লিতে গিয়ে সুনিশ্চিত করব ফেক জব কার্ডে যারা টাকা তুলেছেন তার যাতে আইনের আওতায় আসে৷’’
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে তৃণমূলের ধরনার প্রথম দিনেই বাঁধে বিপত্তি৷ রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ধরনা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় দিল্লি পুলিশ৷ রাজঘাট চত্বরে র্যাফ মোতায়েন করে মূল গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তৃণমূল নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য মাত্র পাঁচ মিনিট সময় দেয় দিল্লি পুলিশ৷
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সাংবাদিক সম্মেলনও মাঝপথে বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় নেতাদের৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়৷