রাজ্যের করা ২৬ এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য, 'যেহেতু তিনি বিরোধী দলের নেতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত, তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে, জনগনের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য, তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।' অ্যাডভোকেট জেনারেল , সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, অন্তত সাতবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। সময়, তারিখ যেদিন তিনি আসবেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়। সিআরপিসি ৪১ এ নোটিশে সমস্যা কোথায়? রক্ষাকবচ তাকে আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি সৌজন্যের বিরল ছবি, হাসিতে মজলেন দুই বিধায়ক
শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী পরমজিত সিং পাটোয়ালিয়া আদালতে দাবি করেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ৬টি FIR করা হয়েছে একই সময়। অধিকাংশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ নিজেই করেছে। মোট ২৬ এফআইআর। মূলত কয়েক ধরনের FIR। যখনই সভায় কিছু বলা হচ্ছে বক্তব্য ধরে FIR করা হচ্ছে। শুভেন্দু'র ট্যুইটেও সমস্যা। সিআরপিসি ৪১-এ নোটিশ প্রায় রোজই দেওয়া হচ্ছে। আগের এফআইআর অন্য ধরনের। এখন ট্রেন্ড বদলে যাচ্ছে। শুভেন্দু বিরুদ্ধে FIR যেন Fill in the Blank। নাম, বাবার নাম কিচ্ছু নেই। প্রতিহিংসার জন্য FIR করা হচ্ছে। এর একটা সমাধানের প্রয়োজন। আবেদন, সব এফআইআর CBI হাতে তুলে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন সুকান্ত-শুভেন্দু, ১৯ ডিসেম্বর কী হবে? তুমুল জল্পনা বাংলায়
একই সঙ্গে খারিজ হোক সব FIR। কিছুদিন আগে ১৯৫৬ নামে একটি বুকলেট সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি দেখান, রাজ্যে ২৬ এফআইআর কোথায় কখন করা হয়েছে। আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এর আগে মোট ৫ এফআইআর রক্ষাকবচ বিচারপতি মান্থা দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। রাজ্য রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সব এফআইআর রাজনৈতিক রং লাগানো বলে পাল্টা সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।