শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের নবান্ন অভিযান নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে আক্রমণ করেন। এরপরই তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” তিনি দাবি করেন যে, কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের স্ত্রীদের নিয়ে একটি ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই সংগঠনের মাধ্যমেই কলকাতা ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের প্রশ্রয়ে এই ঘটনার আয়োজন করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী বৃষ্টি! আরও আসছে… সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, কাল থেকেই…কবে কোন জেলায় তাণ্ডব?
তিনি আরও বলেন, “প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এঁদের পিটিএস অডিটোরিয়ামে জড়ো করা হয়েছিল।” সেখানে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস এবং বিজিতেশ্বর রাউত, যাঁরা সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, তিনটি সরকারি বাস ব্যবহার করে এই মহিলাদের প্রেস ক্লাবে নিয়ে আসা হয় এবং কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে তাঁর আইনজীবী ইতিমধ্যেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। তিনি এই সপ্তাহেই মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এই পুরো বিষয়টি তিনি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর কথায়, ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।’’