এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘হাইকোর্টের রায়ে তিনি খুশি।’’ কেন খুশি, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব।’’
advertisement
২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা মহিষাসুরের ব্রহ্মার থেকে পাওয়া অমরত্বের বরের মতো। খুব সমস্যার বিষয়। তবে আজকের এই নির্দেশ তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যগুলিকেই মান্যতা দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, এই রক্ষাকবচ আইনসিদ্ধ নয়। যা শুভেন্দু ও বিজেপির জন্যও একটা বড় ধাক্কার সমান।”
তবে শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবজ তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে হাইকোর্টের কাছে সম্মতি এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন যে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপিকে যে কোনও কর্মসূচি পালন করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় সে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই পুলিশ নেই৷
