সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ' তৃণমূলকে পরাজিত করে কে জিতবে তা ফ্যাক্টর নয়, বিজেপি কংগ্রেস না বাম তা ফ্যাক্টর নয়, বাংলার মানুষ এখন দেখতে চাইছে তৃণমূল হারছে।' সাক্ষাৎকার শুভেন্দু অধিকারী বললেন,' মানুষের জোটে হারবে তৃণমূল। আগামী কয়েকটা প্রজন্মকে বাঁচানোর স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতান্ত্রিকভাবে লাগাতার আন্দোলন এবং সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করে উৎখাত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার একটাই অ্যাজেন্ডা, বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা। সেই লক্ষ্যেই আমি অবিচল আছি। রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে জোট কোনও রাষ্ট্রবাদী রাজনৈতিক দল করতে পারে না। আমিও চাইনা। আগামী দিনে মানুষের মহাজোটই সর্বনাশা বাংলাকে রক্ষা করবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: অস্ত্র মেয়ে সুকন্যার বয়ান, এবার জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করবে ইডি
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর পরাজিত হওয়া প্রসঙ্গে রামপুরহাটের বগটুই বুথের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর কথায়,' বগটুই বুথে বিজেপি জিতবে না, কিন্তু কাকে ভোট দিলে ওখানে তৃণমূল হারবে সেটা সবাই জানে। আগামী দিন বগটুই বুথ তাই প্রমাণ করে দেবে।'
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে রাম-বাম জোট মডেলে তৃণমূল শূন্য হয়েছে। এবার কি সেই মডেলের পথেই এগোচ্ছে বাংলা ? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই ফর্মুলা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট কোনও মন্তব্য না করলেও শুভেন্দু অধিকারী বললেন,' মানুষের ফর্মুলাতেই, মানুষের মহাজোটেই এ রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেস উৎখাত হবে। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।'
আরও পড়ুন: তিহার সংশোধনাগারই সায়গলের আগামীর ঠিকানা! ইঙ্গিত আদালতের রায়ে
বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের গলায় এখন এক সুর, তৃণমূল হটাও। কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে প্রয়োজনে বাম- কংগ্রেসের সঙ্গেও জোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন৷ যদিও তাঁর দল এই বক্তব্য অনুমোদন করেনি। অন্যান্য বিরোধী শিবিদের নেতৃত্বও সৌমিত্রর বক্তব্য খারিজ করে দেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীও প্রকাশ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মহাজোট মতাদর্শগতভাবে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিয়ে আশাবাদী মানুষের মহাজোটে তৃণমূল কংগ্রেসের পতন প্রসঙ্গে। শুভেন্দুর কথায়,' রাজ্য বিধানসভা থেকে বাম ও কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বাংলায় আমরা তিন থেকে সাতাত্তর হয়েছি। প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছি। তবে বলছি না আগামী দিনে আমরা ২৯৪ টি আসনই পাবো। তবে ১৭৭ টি আসন পেয়ে বিজেপি সুখকর জায়গায় থাকবে। সেই দিন আসন্ন'।
এ দিকে শুক্রবার নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ' রাজ্য সরকার বিপর্যয়ের দোরগোড়ায়। রিখটার স্কেল ৮ -এর উপর যাবে। সেই কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু পুলিশ আছে, আর কিছু নেই। বাকিটা বিগ জিরো।'