মামলা দায়েরকারী আইনজীবী রবিরঞ্জন কুমার জানান, "রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি-র ওপরে আস্থা নেই। বিজেপি বিধায়ক হিসেবে তিনি নন্দীগ্রামে হারিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন আমার।" প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৬ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুনঃ চাকরী প্রার্থীদের জন্য বিরাট খবর! পুজোর পরে রাজ্যে প্রাইমারি টেট! মিলল স্পষ্ট আভাস
advertisement
চলতি বছরের ১ জুলাই, কাঁথি থেকে তমলুক আসার পথে আক্রান্ত হয় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। অল্পের জন্য শুভেন্দু গাড়ি রেহাই পায় সে ক্ষেত্রে। এরপরের ঘটনা ১২ জুলাই, কালিকাপুর (কলকাতা)। সেখানেও কনভয়ের মধ্যে থাকা গাড়ি আক্রান্ত হওয়ার তথ্য সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা। এরপর ২২ অগাস্ট, মারিশদহতেও (পূর্ব মেদিনীপুর) শুভেন্দুর কনভয় আক্রান্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিক টেটকাণ্ডে আরও চাপে মানিক, 'দুর্নীতি ফাঁস হবে', বিস্ফোরক সুকান্ত
জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা বলয় পান শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর গন্তব্যস্থলের রুট লাইন যানজট মুক্ত রাখা কর্তব্য পুলিশের। জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা প্রাপ্ত ব্যক্তির পরপর কনভয় দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক, তাই সিবিআই তদন্তের আবেদন। বিজেপির আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি জানান, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়ক হওয়ার দিন থেকে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণের ঘটনা শুরু। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বস্ত করার পরেও নেতাই যাওয়ার কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। যদিও বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই ঘটনার জন্য পুলিশের ডিজি-সহ একাধিক শীর্ষ কর্তাকে হাজিরা দিতে হয়ে। আমরা জনস্বার্থ মামলায় সব কিছু তুলে ধরব।
ARNAB HAZRA