এদিন ছাত্রসমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে শুরু করে হাওড়া ব্রিজ, ফোরশোর রোড৷ দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ৷ ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ তবে কড়া হাতে সামাল দেয় পুলিশও৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ পোড়ানো হয়েছে পুলিশের বাইক৷
advertisement
এরপরে নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার বিরোধিতায় আগামিকাল, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার৷ যে বনধের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা বর্তমানে রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন এই সব কিছু নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশ যে অত্যাচার করেছে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সুকান্ত মজুমদার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছেন। বনধ শান্তিপূর্ণ হবে।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘নবান্ন অভিযান অবৈধ বলছে। তবে, আজকের যে ঘটনা ঘটেছে, এটা ইচ্ছাকৃত। সিভিক পুলিশদের আনা হয়েছিল raf-এর পোশাক পরিয়ে।’’ পাশাপাশি, বিজেপির তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বনধের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কালকের বনধ নিয়ে কেমন কাঁপুনি হচ্ছে সরকারের, বুঝতে পারছি। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে প্রেস করছেন। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে দেখা যাচ্ছে না। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বেআইনি।’’ এমনকি, আরজি কর কাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল চক্রান্তকারীদের মধ্যে অন্যতম বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।
আগামিকাল, ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারা রাজ্য থেকে কলকাতায় টিএমসিপি-র কর্মীসমর্থকেরা এসেছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তাঁদের দাবি ছিল, তৃণমূলের অনুষ্ঠান বানচাল করতে চেয়েই এই ভাবে আগামিকাল বনধ ঘোষণা করেছেন সুকান্ত৷
এদিন এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিজেপির কর্মীদের বলব, মহাজাতি সদন বা মেয়ো রোডে ওদের বাধা দেবেন না। ওরা প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। পা-দেবেন না।’’