গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রস্তাব পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আমরা আমাদের রাজ্যের নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। আপনারা (বিজেপি) আজ ক্ষমতায় আছেন, তাই করলেন না, যেদিন ক্ষমতা উল্টাবে সেদিন করব।’’
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পরে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে৷ তখন তিনি পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘ওঁর ক্ষমতা উল্টে যাবে। ২৪-এ একসাথে লোকসভা আর বিধানসভা ভোটটা হতে দিন। ২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।’’ আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পরপরই ফের শুরু হয়েছে জল্পনা৷
একইসঙ্গে দেশে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন৷ যেমনটা ১৯৬৭ পর্যন্ত হতো৷ ১৯৬৭ পর্যন্ত বজায় থাকা সেই নিয়ম কি বর্তমান সময়ে প্রয়োগ করা সম্ভব? সেটা যাচাই করতে ইতিমধ্যেই একটি নতুন কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কমিটির প্রধান করা হয়েছে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে৷
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেশে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি প্রয়োগ করা যায় কি না, সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখতে চলেছে এই নতুন কমিটি৷ আর নতুন কমিটির প্রধানের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রামনাথ কোবিন্দের বাড়িতে পুষ্পস্তবক নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷
আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ঠিক আগেই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি৷ যার জেরে একপ্রকার ঘৃতাহূতি পড়েছে ‘ভোট এগিয়ে’ নিয়ে আসার যাবতীয় জল্পনায়৷ আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷
অন্যদিকে, ২০২৪-এর মে-জুন নাগাদ দেশের লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তারপরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে৷ এর মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য।