সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী দলনেতা শুধু বললেন, ‘‘কারও দয়ায় আমি বিরোধী দলনেতা হইনি, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় আমার সাসপেনশন ওঠেনি।’’ শুক্রবার অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘‘বিএ কমিটির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেন নি। এই আচরণ ঠিক নয়।’’
advertisement
গত ২৮ নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও গত বছর মার্চে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। এর পরে পরেই বিধানসভা সচিবের ঘরে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি পরিষদীয় দল। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে সচিব সুকুমার রায়ের কাছে আবেদন জমা দেন।
এদিকে শুভেন্দু অধিবেশন কক্ষে থাকাকালীনই অধ্যক্ষ জানান, ‘‘শুভেন্দুবাবু আপনি ঠিক আচরণ করছেন না। আপনাকে সতর্ক করছি। নিয়ম অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এরপরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শাসকদলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায় একটি মোশন আনেন। বলেন, ‘যাঁরা কোনও দিন সংবিধান হাতেই ধরেননি তাঁরা সংবিধান বুঝবেন কী করে?’ তিনি প্রস্তাব করেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হোক। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল।