বাস ভাড়া ছাড়াও সেদিনের সভার অন্যান্য খরচ বাবদ আনুমানিক তিন থেকে চার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলেও রবিবার ট্যুইটে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর ৪০ মিনিটের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে তা কোথা থেকে এল? বাঁকুড়ার জেলাশাসক এবং মুখ্য সচিবের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কয়েকটি প্রশ্ন, এই খরচ কি করা হয়েছে মিড ডে মিলের ফান্ড থেকে? জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা থেকে? নাকি প্রধানমন্ত্রী পোষণ ফান্ড থেকে?
advertisement
ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী এই প্রশ্নও তোলেন যে, রাজ্য সরকারের যখন আর্থিক সংকট চলছে তখন এই বিপুল খরচ কেন করা হল? বাঁকুড়ার আরটিও-এর বেশ কিছু সরকারি নথি ও মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়ার অনুষ্ঠানের ছবিও টুইটের সঙ্গে অ্যাটাচ করেন বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে এর আগেও এ রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকায় সরকারি কর্মসূচির নামে দলীয় কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি অনেক সময়েই শাসকদল প্রিয় নীল সাদা রংয়ের মঞ্চ তৈরি করে কখনও সাংসদ তহবিলের টাকা আবার কখনও বা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বেআইনিভাবে অন্য খাতে খরচ করার গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভার বিপুল খরচের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নতুন অভিযোগের বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী