তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গরু পাচারে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার জন্য এখনও পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে সম্পূর্ণ গরু পাচার বন্ধ হয়নি বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনে শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার চালানোর কারণেই রাজ্য সরকার বিএসএফের চৌকি তৈরির জন্য ৭২ টি জায়গায় জমি দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানে যে, সেই সমস্ত জায়গায় বিএসএফ( BSF)-কে চৌকি তৈরির জন্য জমি দিলে গরু পাচার করা সম্ভব হবে না।’’
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা-অভিষেকের পঞ্চায়েত প্রস্তুতি বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর, আজ বৈঠকে বিজেপি
এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এও জানান, ‘‘আমি বিএসএফের ডিজিকে জানিয়েছি, গরু পাচারের নজরদারিতে ৭২ টি এলাকায় জমির মালিকদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কিনে সেখানে চৌকি তৈরি করতে।’’ ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত শুরু করেছে। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর গরু পাচারের তদন্তের মাঝেই রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হয় স্বরাষ্ট্র সচিবের।
বিএসএফ-এর এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা আলাপ-আলোচনা চলছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এলাকা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শাসক দলের পক্ষ থেকেও অনেক সময়েই বলা হয়েছে, রাজ্যের হাতে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি থাকার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার আসলে বাহিনীর মাধ্যমে রাজ্যের সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে মূলত রাজ্যের পূর্ব দিকে। এখানে জমি সমস্যাও একটি বড় বিষয় বলে সরকারি সূত্রের দাবি। যদিও বেআইনি কাজ পরিচালনার জন্যই রাজ্য সরকার বিএসএফকে চৌকি তৈরির জন্য জমি দিচ্ছে না বলে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।