শুধু তাই নয়, SDPO এগরা-কে ৫ লাখ টাকা জরিমানা। নিজের পকেট থেকে এই জরিমানা দিতে হবে। তাঁর পোশাকে থাকা অশোক স্তম্ভের সম্মান রক্ষা করেননি এসডিপিও। তিনি কারও দাসের মতো কাজ করেছেন। মন্তব্য বিচারপতির। মেছেদা-দিঘা বাইপাসে এলইডি লাইট লাগানো নিয়ে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ২০২২ সালে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: বড় স্বস্তি বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ-র! বালি-অস্ত্র মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
advertisement
২০১৭-১৮ সালে এই আলো লাগানো হয় বলে অভিযোগ। ২-৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৩১-১০-২৩ তারিখে নোটিস পাঠিয়ে সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০ বছরের আয়করের ফাইল চেয়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে এথিক্স কমিটির সামনে মহুয়া মৈত্র, তার আগেই পাঠালেন ‘বিস্ফোরক’ চিঠি!
সাক্ষীর আয়করের ফাইল দিয়ে কী হবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজিরা দিক। সওয়াল রাজ্যের। উনি হেলিকপ্টারে হাজিরা দেবেন, নাকি গাড়ি করে যাবেন নাকি হুইল চেয়ারে হাজিরা দেবেন, সেটা পরের কথা। মন্তব্য বিচারপতির। মামলাকারীকে হেনস্থা করার জন্য পুলিশের এই পদক্ষেপ। ভারতীয় নাগরিকদের হেনস্থা করার জন্য পুলিশ বাহিনীর নির্মাণ করা হয়নি। মন্তব্য বিচারপতির। SDPO এগরা তাকে সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠায়।
৪ বছর পর কেন পুলিশের কাছে অভিযোগকারী, হঠাৎ করে জেগে উঠে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেন সেটা স্পষ্ট নয়। মন্তব্য বিচারপতির। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী কাউকে ডেকে পাঠানো হলে তার আয়করের ফাইল কেন প্রয়োজন হয় সেটা এই আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। মন্তব্য বিচারপতির। শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে আইনজীবী ছিলেন রাজদীপ মজুমদার। আর রাজ্যের আইনজীবী তপন কুমার মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন এদিন।