শুভেন্দুর কথায়, ‘‘দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ভারতবর্ষের নানা ঘটনাই শুধু নয়, এ রাজ্যে নানান আন্দোলন দেখেছি। নানান অত্যাচারের ইতিহাসের কথা শুনেছি। কিন্তু ২০২১ সালের ২ মে থেকে যে অত্যাচার বাংলায় চলছে তা ব্রিটিশ আমলেও হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যদি ভাবেন তাঁদের পাঁচ প্রজন্ম এই রাজ্য শাসনের মাধ্যমে অত্যাচার চালিয়ে যাবেন তাহলে আপনাদের সেই ধারণা ভুল। গোটা পৃথিবীর ইতিহাস বলছে, অত্যাচারীরা চিরদিন স্থায়ী হয় না।’’
advertisement
আরও পড়ুন: বেড-এর ঠিক নীচে এসে ঘাপটি মেরে বসে আছে ওটা কী, সাপ না গোসাপ, এ কেমন হাসপাতাল
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলে মঙ্গলবার ধর্মতলায় শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন শুভেন্দু। এ-ও বলেন, ‘‘বদলা নয়, বদল হবে, এসব শ্লোগান অতীত হয়ে গেছে। আমাদের এই আন্দোলন যে বৃথা হবে না তা আমরা গণতান্ত্রিকভাবে করে দেখাব।’’
ধর্মতলার শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শাসকদল তথা পুলিশকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ‘‘২০২১ সালের ২ মে তৃণমূল কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে শাসকদল হামলা শুরু করেছে। যার ফলে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের শিকার হতে হচ্ছে। সেই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।’’
ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘চুরির লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের খুনের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহারে একসময় জঙ্গলরাজ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা খতম হয়েছে।’’
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘জোট বাঁধুন। তৈরি হন। আগামী দিনে উপড়ে ফেলতে হবে তৃণমূলকে, এই শপথ নিয়ে বলুন, 'নো ভোট টু মমতা। নো ভোট টু তৃণমূল। আনতে হবে ডবল ইঞ্জিন সরকার। তাহলেই বিচার পাবে শহিদ পরিবার। অত্যাচারী সরকার ও তৃণমূলের হাত থেকে রক্ষা পাবে বাংলাও।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী