‘গেঞ্জি’ ইস্যু নিয়ে অধিবেশনের শুরুতেই শুরু হয় তরজা৷ স্পিকার বলেন, ‘‘গেঞ্জি পরে আসা ঠিক নয়৷ এটা করতে পারেন না৷’’ পরিষদীয় রীতিনীতির প্রসঙ্গ তুলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন ‘গেঞ্জি’ না পরেন৷
স্পিকারের এই মন্তব্যের পরেই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিধানসভায়৷ রেগে গিয়ে স্পিকারকে এমনও বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি দায়িত্বশীল নাগরিক ও বিধায়ক৷ আজ কি তাহলে গেঞ্জি কথা বলবে?’’
advertisement
প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ এদিন সব বিজেপি বিধায়কই গেরুয়া রঙে লেখা ‘২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ লেখা টি-শার্ট পরে বিধানসভায় আসেন৷ এদিন তাঁদের এদিনে রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ারও কথা৷
সম্প্রতি গত ২০ জুন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে মানতে নারাজ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ফোনে অনুরোধ জানিয়ে ও পরে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে এই আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে সম্প্রতি নবান্ন সভা ঘরে হওয়া বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বণিক সভার প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহিত্যিকরাও উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে তাঁদেরও মতামত নেওয়া হয় ওই দিনের বৈঠকে।