বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'আজ নাকি খেলা দিবস হচ্ছে। সারা রাজ্যজুড়ে পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে, হাজার হাজার লোক আসছে। আর আমরা কলকাতার একটা জায়গায় অবস্থানে বসলেই আপত্তি!' শুভেন্দু ও দিলীপ ঘোষ সহ সকল বিজেপি নেতাকর্মীকেই নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে। আটক করা হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকেও।
advertisement
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের জোরদার প্রচারে, 'খেলা হবে' স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল তৃণমূল। খেলা শেষে দেখা যায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল। পর্যদুস্ত হয়েছে বিজেপি। তবে নির্বাচনের গণ্ডির বাইরে গিয়েও এবার বাংলা জুড়ে সেই ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের বিশেষ উদ্যোগ। এমনকী ত্রিপুরা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সোমবার খেলা হবে দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল। গত ২১শে জুলাইয়ের সভা থেকেই এ বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার রেশ ধরেই ঘটা করে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন। এই দিবস পালনের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে প্রায় এক লক্ষ ফুটবল দেওয়ার ঘোষণা করেছে ক্রীড়া ও যুব কল্যান দফতর। আর এই খেলা হবে দিবস পালনের পালটা হিসাবেই এদিনই ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ পালনের অঙ্গীকার করে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সকলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। ১৬ অগস্ট 'গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং'-এর প্রসঙ্গ টেনেও সুর চড়ায় গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রেই এদিন কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু পুলিশ গিয়ে আটক করে বিজেপি নেতাদের।