অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের কাছে আমরণ অনশন চালাচ্ছিলেন। সময় যত গড়াচ্ছিল আন্দোলনের ঝাঁঝও ততই বাড়ছিল। তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরপর ১৪৪ ধারা লাগু হলে পুলিশের তরফে মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকেন আন্দোলনকারীরা। একসঙ্গে জমায়েত না করে নতুন কৌশলের দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যান টেট উত্তীর্ণরা।
advertisement
আরও পড়ুন : 'দীপাবলির উপহার'! 'দেউচা-পাঁচামিতে নিয়োগপত্র প্রদান' নিয়ে 'নিশানা' শুভেন্দু অধিকারীর
অভিযোগ, এর পরই মাঝরাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলপূর্বক আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। আইন ভাঙায় গ্রেফতারও করা হয় কয়েকজনকে। এর পরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগের বিরুদ্ধে পথে নামেন। টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনে রং লাগে রাজনীতিরও। প্রতিবাদ মিছিল বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। সরব হন বিশিষ্টজনের একাংশও। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকার এবং পুলিশকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, '‘ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকায় ধিক্কার জানাই। মেধাবী ছাত্রছাত্রী যাঁরা আন্দোলন করছিলেন তাঁদের দাবি যুক্তিযুক্ত। মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে এই সরকার চাকরি বিক্রি করেছে, যা গোটা ভারতে নজিরবিহীন। তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের সুপারিশে অযোগ্যদের অনৈতিকভাবে শিক্ষক পদে চাকরি মিলেছে। অথচ যাঁরা মেধাবী ও যোগ্য, তাঁরা দিনের পর দিন পথে নেমে আন্দোলন করছেন। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় এই দুর্নীতি চরম লজ্জার।’’
আরও পড়ুন : এবার কি বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু? জল্পনার মধ্যে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা স্বয়ং
এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘‘করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের উপর অমানবিক অত্যাচারে শুধু পুলিশই ছিল না৷ মেধাবী আন্দোলনকারীদের উপর বলপূর্বক অমানবিক অত্যাচারের সময় বিধাননগর পুলিশ ছাড়াও 'চটি জিন্স প্যান্ট পুলিশ' এর সঙ্গে ভাঙড়- ক্যানিং থেকে আনা হয়েছিল শাসক দল পুষ্ট প্রচুর 'গুন্ডা' ক্যাডারও। আমরা সব নজরে রাখছি।’’