তবে এসএফআইয়ের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালালেও শেষ ল্যাপে স্বাধীনচেতা ছাত্রদের সংগঠন আইসি-এর হার ৷ সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক এবং গার্লস কমনরুম সেক্রেটারি - সব পদেই জয়ী এসএফআইয়ের প্রার্থীরা। সিআর পদেও সবচেয়ে বেশি আসন এসএফআইয়ের। উল্লেখ্য, ৩০ বছর পরে গার্লস কমনরুম সম্পাদক পদেও জয়ী এসএফআই ৷
দলের ছাত্র সংগঠনের এমন দুর্দান্ত সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ৷ ট্যুইট করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এই দুর্দান্ত জয়ের জন্য অভিনন্দন ৷ বাম ছাত্র সংগঠনের ঐক্যকে সুংসহ করার আন্তরিক প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকুক ৷ ’
advertisement
ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ (সিআর)-এর আসন ১১৬টি। কিন্তু সেখানেই ২৯ জনের বিরুদ্ধে কেউ লড়েনি। বাকি সিআর আসন এবং পাঁচটি বিশেষ পদের জন্য এদিন ভোট নেওয়া হয় ৷সিআর পদেও এক নম্বরে এসএফআই। তাদের দখলে ৫৭টি আসন। পাঁচটি আসনে জয়ী তৃণমূলপন্থীরা। প্রেসিডেন্ট পদে ৪৫১টি, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ৩২০টি ভোটের ব্যবধানে এবং জেনারেল সেক্রেটারি পদে ২৪৯ ও এজিএস পদে ২৮২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী এসএফআই ৷ ২০১০ সালে প্রেসিডেন্সিতে শেষবার ক্ষমতায় ছিল এসএফআই। তারপর থেকে টানা তিনবার আইসির দখলেই ছিল প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ। যা এবার ছিনিয়ে নিল SFI।