তবে ব্যস্ততম এই রুটে কোন কোন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালাতে পারবে তা নিয়ে চলছে চর্চা। কারণ আলাদা সাইকেল লেন বানাতে গেলে বর্তমান রাস্তার অংশের থেকে ২ শতাংশ জায়গা বার করে এই সাইকেল লেন বানাতে হবে। কারণ নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করে এই কাজ করা সম্ভব নয়।
সাধারণ অবস্থায় কলকাতা শহরে যে সংখ্যক গাড়ির চাপ থাকে, তা রাস্তার আয়তনে অনেক কম বলে জানালেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা। তারই মধ্যে আবার আলাদা সাইকেল লেন বানানো কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে তাই ভাবাচ্ছে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরকে। দিল্লির এক সংস্থাকে এই সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের রিপোর্টে যে ছয় রুট বাছাই করা হয়েছে তা হল, হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড, বেহালা থেকে এসপ্ল্যানেড, বেহালা থেকে সেক্টর ফাইভ, এসপ্ল্যানেড থেকে সল্টলেক, শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড ও খিদিরপুর থেকে হাওড়া।
advertisement
শুধু একটু সংস্কারের কাজ করলেই ফের চালু হয়ে যাবে নিউটাউনের সাইকেল বে। আনলক অধ্যায়ে রাস্তায় বেড়েছে সাইকেল আরোহীর সংখ্যা। সেই অনুপাতে কলকাতা বা শহরতলিতে রাস্তা বা সাইকেল বে নেই বললেই চলে। এবার সেই সাইকেল বে নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই কারণেই রাজ্যে শুরু হয়েছিল সাইকেল বে নিয়ে সমীক্ষার কাজ।
পরিষ্কার করে ভাবতে গেলে, কলকাতা ও নিউটাউনের জন্যে সেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।নিউটাউন-রাজারহাট ধীরে ধীরে পরিকল্পনা করে সাজানো হয়েছে এই শহর। বিশাল বিশাল অট্টালিকার মাঝে ঝাঁ চকচকে রাস্তা যেমন রয়েছে। তেমন ভাবেই মেট্রো রেলের পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে এখানে। একদিকে যেমন রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো সেক্টর ফাইভ স্টেশন। তেমনই গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর অবধি চালু করা হচ্ছে মেট্রো। এছাড়া চওড়া রাস্তার পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত ফুটপাথ। তার পাশেই রয়েছে সাইকেল বে।
বাসিন্দাদের বোঝার সুবিধার জন্য সাইকেল বে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে রাজ্য নগরায়ন দফতর মনে করছে নিউটাউনে সাইকেল লেন তৈরি করা অনেক সহজসাধ্য হবে।
রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "আমরা নিউটাউনের কথা আগেই চিন্তা ভাবনা করছি। কারণ ওখানে পরিকাঠামো প্রস্তুত আছে। সেই অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।"
গত ৫ বছর ধরে নিউটাউন ও সেক্টর ফাইভে অ্যাপ বেসড সাইকেল পরিষেবা চালু ছিল। যদিও তা এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নিউটাউন রুপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা এনকেডিএ জানাচ্ছে, তারা সাইকেল লেনের যে সমস্ত জায়গায় অসুবিধা বা ভেঙে গিয়েছে সেগুলিকে সারানোর কাজ করবে। সাইকেল স্ট্যান্ড কোথায় বানানো হবে তা দেখা হচ্ছে। বহু বাসিন্দা রয়েছেন নিউটাউনে যারা সাইকেল ব্যবহার করেন। তাঁরা বলছেন, আলাদা লেন হলে যাতায়াতের সুবিধা হবে। এছাড়া নিউটাউনের একাধিক জায়গায় রাস্তা পেরনোর জন্যে সাবওয়ে করা আছে। ফলে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে বাসিন্দা ও প্রশাসন। তবে কলকাতা নিয়ে এখনই চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় কে এম ডি এ।
ABIR GHOSAL