TRENDING:

২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

Last Updated:

মঙ্গলবার ২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, নিয়োগের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে শিক্ষকদেরই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অস্তিত্বহীন দেশের শীর্ষ আদালতে! মঙ্গলবার ২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, নিয়োগের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে শিক্ষকদেরই।
advertisement

চলতি বছরের জুন মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ একই সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একসঙ্গে ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি চলে যায় ৷ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করে, তা বেআইনি বলে জানায় কলকাতা হাইকোর্ট৷

advertisement

২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট-এ পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী৷ এদের মধ্যে ২৬৯ জন এক নম্বর করে বাড়িয়ে সফল হয়৷ তার মধ্যে হুগলি জেলাতেই ৬৮ জন। ২৬৯ জনকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নেয় পর্ষদ। প্রস্তাব রাজ্যের শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। শিক্ষা দফতরের অনুমতি সাপেক্ষেই নতুন নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সেই তালিকা প্রকাশিত হয়৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত এমনই তথ্য দেন আদালতকে৷

advertisement

পর্ষদের আইনজীবীর দেওয়া এই তথ্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কীভাবে ২৬৯ জনের জন্য নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তাছাড়া, প্রশ্ন ভুলের অজুহাতে কীভাবে শুধুমাত্র ২৬৯ পরীক্ষার্থীর এক নম্বর করে বেড়ে গেল, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি৷ বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?' কীসের ভিত্তিতে এই ২৬৯ জনকে চিহ্নিত করা হল, তাও জানতে চান তিনি৷

advertisement

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত! ক্রমশ শক্তি বাড়বে! ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তাণ্ডব শুরু করবে

জবাবে পর্ষদের আইনজীবী জানান, যোগ্যদের বঞ্চনা করা হয়েছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা পর্ষদে আবেদন করেন। জেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদন থেকেই প্রশ্ন ভুলে ১ নম্বর করে যোগ করে ২৬৯ জন টেট উত্তীর্ণ হন।

advertisement

আরও পড়ুন: বড় খবর! মানিককে প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত, বলল আদালত

যদিও পর্ষদের আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ওই নিয়োগ তালিকা বেআইনি ঘোষণা করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি৷ পাশাপাশি ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি৷ এই শিক্ষকরা যাতে আগামিদিন অর্থাৎ ১৪ জুন থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দেন বিচারপতি৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, ১৩ জুন থেকেই এই মামলার এফআইআর দায়ের করে অভিযোগের তদন্ত শুরু করবে সিবিআই৷ যেহেতু নিয়োগে এই অনিয়মের দায় পর্ষদ সভাপতি এড়াতে পারেন না, তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের সচিবকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেন বিচারপতি৷ রমেশ মালিক নামে এক টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতেই এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
২৬৯ জন 'শিক্ষক'-এর চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে সাময়িক স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল