প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী শ্যাম দেওয়ানের যুক্তি, অতীতে যা ঘটেছে তার সঙ্গে বর্তমান সভাপতি এবং সচিবের কোনও সম্পর্ক নেই।২০২২ সালের ২৪ অগাস্ট পর্ষদের সভাপতি পদে যোগ দিয়েছেন ডঃ গৌতম পাল। এরপরে ডেপুটি সেক্রেটারি পদে যোগ দিয়েছেন পার্থ কর্মকার। ফলত যে সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে সেই সময়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই।
advertisement
যদিও চাকরি না পাওয়া প্রার্থীদের তরফে আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত জেলে থাকলেও যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি বর্তমান সভাপতির দায়িত্বেই রয়েছে। অর্থাৎ তথ্য প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করতে চান তিনি। যদিও এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্টে সিঙ্গেল জাজের এই মামলায় কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেন আইনজীবী শ্যাম দেওয়ান।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গৌতম এবং পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পর্ষদ-সভাপতি। সোমবার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।