দুপুরে বাউন্সার বৃষ্টির, ক্রিজ আঁকড়ে জনতা
সপ্তমীর কাকভোরে নিউ আলিপুর আর রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ভিড়টাই যেন সারা দিনের মেজাজ বেঁধে দিয়েছিল! সকাল থেকেই হানা দিয়েছে ‘ঘূর্ণাসুর’। উত্তর ও মধ্য কলকাতায় দফায় দফায় তুমুল বৃষ্টি হয়েছে, জল জমেছে রাস্তায়। কিন্তু সে সবকে পাত্তাই দেননি পুজো-পাগলরা। উল্টে ঘূর্ণাসুরের চোখে চোখ রেখেই টক্কর দিয়েছে সপ্তমীর ভিড়।
advertisement
ভিজে আকাশেই সপ্তম সুরে উত্সবের তান, দেখুন ছবিতে
আজ মহাষ্টমী। সকালে পুষ্পাঞ্জলি আর বেলা বাড়তেই মানুষের ঢল শহরের এ পার থেকে ও পার। আপনিও কি পুজোর রাস্তায় পা রেখে ফেলেছেন? যত ঠাকুরই দেখুন, বাদ থেকে যাবে কিন্তু অনেক অনেক। তবে আপনার না দেখা মণ্ডপ, না দেখা প্রতিমা দেখাতে আমাদের চিত্রসাংবাদিকরা ঘুরছেন চতুর্দিকে। এক নজরে দেখে নিন কলকাতা আর আশপাশের সেরা সব পুজোর ছবি।
বনগাঁয় সিঙ্গুর, এই না হলে পুজো!
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিক থেকেই, বিশেষত নব্যবাবুদের হাত ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজো বাড়তে শুরু করে বাংলায়। কলকাতাতেই বেশি। কে কত বড় করে, কত টাকা উড়িয়ে, কত বাজি পুড়িয়ে, কত দম্ভ গুঁড়িয়ে পুজো করতে পারেন এই ছিল প্রতিযোগিতা। আস্তে আস্তে এই বাড়ি পুজোর গণ্ডি ছাড়িয়ে ১২ ইয়ারি পুজোরও চলন হয় কলকাতায়। ১২ ইয়ারদোস্ত বা বন্ধুবান্ধব মিলে এই পুজোর নামই পরে বারোয়ারিতে বদলে যায়।
গঙ্গা পাবো কোথায়? সাগরেই কলাবউ স্নান
হিন্দু বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় উত্সব তো দুর্গাপুজোই। পেশার প্রয়োজনে যে বাঙালিকে দূর দেশে গিয়ে থাকতে হয়, তার মনেও শরতের আকাশ পুজো পুজো ডাক দেয়। সে ডাকে সাড়া দেয় না এমন বাঙালি কজন! তাই দিল্লিই হোক বা বেঙ্গালুরু, আমেরিকাই হোক বা ঘানা, এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন বাঙালি যেখানেই জড়ো হন, সেখানে দুর্গাপুজো হবে না তা কি হয়! নিজেদের মতো করে, যে দেশে বাস সে দেশের সুবিধে অসুবিধে অনুযায়ী, কিছুটা এ দিক ও দিক হয় পুজোর নিয়মকানুনও। কলাবউ স্নান করাতে গঙ্গা নেই তো কি, সাগরের নোনা জলই সই!
দফায় দফায় বৃষ্টি সত্ত্বেও উৎসবের মেজাজ তুঙ্গে
রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। তাতে কী? ছাতা আছে তো! তাই থোড়াই কেয়ার করে ষষ্ঠীতে জনজোয়ারে ভাসল কলকাতা। নাক উঁচু শহুরে শরীরে লেগে গেল গ্রাম্য ঘাম। উৎসবের জয়ডঙ্কা বাজিয়ে নগরে ঢুকল মফস্সল। শুক্রবার ‘অফিশিয়ালি’ শুরু হয়ে গেল পুজো। আর খাতায়-কলমে পুজো শুরু হওয়ার ফলে যেন অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর ছিল কলকাতা পুলিশ। শহরের একটা বড় অংশেই গত কয়েকদিনের দুঃসহ যানজট অন্তত বিকাল পর্যন্ত সহ্য করতে হয়নি নাগরিকদের। লেজেগোবরে অবস্থা কাটিয়ে ষষ্ঠীতে স্বমহিমায় ফিরেছে পুবের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ফলে ভিড় বাড়লেও ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠেনি। সম্ভবত, গত বছর এবং বিগত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রিয় পার্কের ধারপাশ মাড়াননি অনেকেই। তাই ভিড়ের দাপট সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশি দেখা গিয়েছে উত্তরের হিট পুজোগুলিতে।
২০১৮ সালের মধ্যে পাক সীমান্ত সিল হবে: রাজনাথ
পাকিস্তানের সীমান্ত দেড় বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হবে। আজ রাজস্থানের জয়সলমির ও বারমেঢ় সীমান্ত পরিদর্শন করে পাকিস্তানের সম্ভাব্য হামলার প্রতিরোধে ভারতের ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রস্তুতি সরজমিন দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ঘোষণা করেছেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি সম্পূর্ণ পাকিস্তান সীমান্ত সিল করে দিতে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে রাজস্থানের থর মরুভূমির সীমান্তই কমপক্ষে ১ হাজার কিলোমিটার। আর যা সম্পূর্ণ অসুরক্ষিতই বলা যায়। কারণ বিএসএফ প্রহরা আছে বটে, কিন্তু মরুভূমিতে বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়নি পুরোপুরি। শুধু যে ফেন্সিং সম্পন্ন করে এই সীমান্ত সিল করা হবে তাই নয়, সীমান্ত এলাকায় একটি ‘কোঅর্ডিনেটেড সিকিউরিটি টেকনিক্যাল গ্রিড’ স্থাপন করা হবে।
সরকারি শারদ সম্মানে সেরার সেরা ১৫ পুজো
পরিবর্তনের জমানায় খোদ সরকারি উদ্যোগে বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করতে প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেকেন্ড ইনিংসের প্রথম দুর্গাপুজো ছিল এবার। মহাষষ্ঠীর পুণ্যলগ্নে সেই বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে ভূষিত করা হল কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সেরা পুজো কমিটিগুলিকে। এবার সেরার সেরা সম্মান পেল ১৫টি পুজো। এগুলি হল সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, অবসর, বোসপুকুর তালবাগান, সমাজসেবী, ৪১ পল্লি, বড়িশা ক্লাব, ৬৬ পল্লি, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি, আহিরীটোলা সর্বজনীন, শ্রীভূমি, হিন্দুস্থান পার্ক, মুদিয়ালি, কাশী বোস লেন সর্বজনীন, সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ সাউথ পল্লিমঙ্গল। সেরা মণ্ডপের পুরস্কার পেয়েছে – নাকতলা উদয়ন, দমদম পার্ক তরুণ দল এবং এ কে ব্লক, সল্টলেক। এছাড়া ত্রিধারা, ৯৫ পল্লি, বেহালা নতুন দল পেয়েছে সেরা প্রতিমার সম্মান।
ঘূর্ণাবর্ত অসুরের দাপটে পুজোর চারদিনই বৃষ্টি হবে, জানাল হাওয়া অফিস
ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে রাতের শহরে দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার বাইক আরোহীর। পুলিশ জানিয়েছে, বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। তাঁদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বাইপাসের উপর আম্বেদকর সেতুতে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই মা উড়ালপুলে আবার একইরকম দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম কুণাল মিস্ত্রি (১৮), কুশল মিস্ত্রি (১৭), সুমন মিস্ত্রি (১৬) ও কার্তিক অধিকারি ওরফে সত্যব্রত অধিকারি (২৩)। পুজোর সময় হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগাম জানিয়েছিলেন লালবাজারের কর্তারা। তারপরেও হেলমেট ছাড়াই শহরে বাইকের দাপট কীভাবে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশি নজরদারি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
পুলওয়ামায় পুলিশের রাইফেল লুঠ করল জঙ্গিরা
কাশ্মীর উপত্যকা দিয়ে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্ঠা চালাচ্ছে জঙ্গিরা ৷ পুলওয়ামায় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে ৷ তার আগে সন্দেহভাডজন জঙ্গিরা পুলিশের কাছ থেকে দুটি রাইফেলও ছিবিয়ে নিয়ে যায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুলওয়ামার তুমলাহল গ্রামে ৷
ধর্মের অছিলায় তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ পাকিস্তানে
ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করায় পাকিস্তানে এক সংখ্যালঘু তরুণীকে দাদার সামনেই গণধর্ষণের শিকার হতে হল ৷
রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার রুদ্রনীলের বাবার দেহ
পঞ্চমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৷ শনিবার পাঁশকুড়ার রেল লাইনের ধআর থেকে মিলল রবীন ঘোষের মৃতদেহ ৷ রবীন বাবু অভিনেতা রুদ্রনীলের বাবা ৷
পুলিশের পেলেটে কিশোরের মৃত্যু, ফের উত্তপ্ত উপত্যকা
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বছর তেরোর এক কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে ফের উত্তেজনা বাড়ল শ্রীনগরে ৷