আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি দলীয় একটি মঞ্চ থেকে নবান্ন অভিযানের ঘোষণা করেন সুকান্ত মজুমদার। এবার সেই দিনের মিছিলে কর্মীদের ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা রাখার নিদান দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে বিজেপি হিংসায় বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য সুকান্তর। তাঁর সাফ কথা, ‘‘আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী। আগামী ৭ তারিখ নবান্ন অভিযানের দিন যদি জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ তাহলে প্রতিরোধ হবে।’’ মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বত্র ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করছে শাসক তৃণমূল। সেই সঙ্গেই দলের নেতাদের কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে ‘হেনস্থা’ করার জবাবে বিক্ষোভ শুরু করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সুকান্তের হুঁশিয়ারি, ‘‘পুলিশ ছাড়া খেলতে আসুন।’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৭ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আজ বাংলার জনগণ নেই। ওদের আছে শুধু পুলিশ। সেই পুলিশকে দূরে সরিয়ে রেখে খেলার মাঠে নামুন। আমরা ভাল খেলে দেবো।’’ এবার বারাসাতের দলীয় কর্মসূচি থেকে সুকান্ত মজুমদারের মুখে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডান্ডা রাখার বার্তা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের দিন সকলকে দলীয় কর্মসূচিতে ঝান্ডা রাখার পাশাপাশি ডান্ডা রাখার কথাও বললেন বঙ্গ পদ্ম শিবিরের সভাপতি। আর এই বক্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন- বিস্কুট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণের পর ৬ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা পানিপথে
পার্থ-অনুব্রতের গ্রেফতারির পর থেকে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের গায়ে ‘চোর’ তকমা লাগাতে ব্যস্ত। বিজেপি তাদের কর্মসূচির নামই দিয়েছিল, ‘চোর ধরো, জেল ভরো।’ তার পাল্টা ‘আক্রমণাত্মক’ রাস্তা নিয়েছে শাসকদল। বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ করছে জোড়া ফুল শিবির। বসে থাকছে না পদ্মফুল শিবিরও। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘‘যারা আমাদের বিরোধিতা করছে, সেই সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে এবার পায়ের জুতো তৈরি হবে।’’ সৌগত রায়ের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন,' আমরাও পায়ের জুতোর মাপ নিতে জানি'।
সব মিলিয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তবে দুই ফুল শিবিরের অনেক নেতারই বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, ‘‘উভয়পক্ষই দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যই এমন ‘গরম গরম’ কথা বলছে।’’