আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি যেন দেওয়া হয়। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হলাম'।
advertisement
অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন কলকাতা পুলিশের এসিপি পদমর্যাদার অফিসার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, ‘নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি হয়েছে। আন্দোলনের নামে দাদাগিরি চলেছে। দুষ্কৃতীদের দিয়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মদতেই এসব হয়েছে। তবে পুলিশ ধৈর্য-সংযমের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত।’
আরও পড়ুন : 'Guinness book-এ নাম উঠবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...', কী ভাবে? কারণ বাতলে দিলেন দিলীপ ঘোষ
এসিপির ওপর আক্রমণ প্রসঙ্গে অভিষেক সেদিন বলেছিলেন ‘ওনাকে বলেছি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে মাথায় গুলি করতাম।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় বয়ে যায়। অভিষেকের গুলি মন্তব্য নিয়ে সরব হয় গেরুয়া শিবির। সুকান্তর অভিযোগ, 'আদালতে শুনানি পর্ব চলাকালীন সরকারি আইনজীবীরা হইচই করলেন। তবে বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে'।