আরও পড়ুনঃ Gen-Z নিয়ে এত হইচই! জানেন কি এই Gen-Z কারা? কেন এই নাম? চমকে যাবেন শুনলে!
তিনি বলেন, “বাংলার বালি চুরি হয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এই টাকা সরাসরি দিল্লিতে চলে যাচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, এই পাচারের সঙ্গে জড়িত ট্রাকগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র থাকে না, কিন্তু শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতার হাত থাকার কারণে পুলিশও তাদের ধরতে পারে না। সুকান্ত মজুমদার যদিও নাম সরাসরি বলেননি, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সেই ব্যক্তি দিল্লিতে বসে বাংলার এই অবৈধ কারবার পরিচালনা করছেন। এই অভিযোগের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে এই ‘পিসতুতো ভাই’ কে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
advertisement
বিরোধীরা বলছে, এই বালি পাচার শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দুর্নীতি নয়, এটি আইনশৃঙ্খলারও চরম অবনতি। এই অভিযোগের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর শাসক দলের পক্ষ থেকে দ্রুত পাল্টা জবাব আসবে। ইতিমধ্যেই বালি পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত টানা তল্লাশি চালিয়ে মেদিনীপুরের এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৬৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। রাজ্যে ফের সামনে এসেছে বালি মাফিয়াদের ভয়ংকর দৌরাত্ম্য এর অভিযোগ।
সরকারি নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ চলছে, যা এখন প্রযুক্তিগত জালিয়াতির মাধ্যমে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। তার উপর ভিত্তি করে সোমবার রাজ্যের ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর আধিকারিকরা একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন বলেও খবর। এবার সেবিষয়ে সুকান্ত মজুমদারের রাজনৈতিক বক্তব্য আলাদা মাত্রা যোগ করছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।