‘‘যারা আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার উপযুক্ত নয় তাদের নাম তালিকায় ঢুকিয়েছেন বিডিওরা। তাই গ্রামের মানুষজন বলছে, তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বিডিওরাও দুর্নীতিগ্রস্ত। বিডিওরাও কাটমানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’’ নবান্নের তরফে তিন মাসের মধ্যে আবাস যোজনার বাড়ি সম্পূর্ণ করতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
advertisement
নিউজ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুকান্ত এও বলেন, ‘‘ তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কাজ ভুল হয়। তাই তাড়াতাড়ি কাজ করে যে তালিকা তৈরি করা হবে তারপর ভুল হলে মুখ্যমন্ত্রী বলবেন ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা মনে করি না রাজ্য সরকার কোনও কাজই স্বচ্ছ ভাবে করতে পারবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও বলেছেন যে, আমফানের টাকা প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভুল করে ঢুকে গিয়েছে। তাই আবাস নিয়ে যতই নতুন গাইডলাইন কিংবা পুরস্কার দিক না কেন প্রশাসন, সর্বস্তরে দুর্নীতির পাঁকে ডুবে রয়েছে এই সরকার।’’
প্রসঙ্গত, ৯০ দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে আবাস যোজনার ১১ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরির কাজ। নাহলেই ফেরত চলে যাবে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা। সম্ভবত সেই আশঙ্কা থেকেই এবার আবাস যোজনা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে বিস্তারিত গাইডলাইন বেঁধে দিল নবান্ন বলে মত অনেকের। এখানেই শেষ নয়, সময়ে যাতে কাজ শেষ হয়, তা নিশ্চিত করতে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিস, আধিকারিকদের বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন। দেওয়া হবে ইনসেনটিভও।
সম্প্রতি, বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে আবাস যোজনা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই এই গাইডলাইন জেলা প্রশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবান্নের গাইডলাইনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরি কাজ শেষ করার উপরে। কী ভাবে কোন সময়ে আবাস মেলার আয়োজন করতে হবে, কী ভাবে ইটভাটা থেকে ইট সংগ্রহ করে শৌচালয় তৈরি করাতে হবে, প্রত্যেক বাড়িকে কী ভাবে জিও ট্যাগিং করতে হবে, সমস্ত কিছুই উল্লেখ রয়েছে নয়া গাইডলাইনে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।