সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘দেব থাকুক আর মিমি থাকুক, তৃণমূলে থাকলে সে চোর হবেই। তৃণমূল গোটাটাই একটা নর্দমা। নর্দমায় যদি আপনি স্বচ্ছ পরিষ্কার জল ঢালেন তাহলে সেটাও কালো হয়ে যায়। ঠিক তেমনি যদি কেউ ভালভাবে সৎ পথে থেকে তৃণমূলে যান তাহলে তিনিও ওই দুর্নীতি এবং চুরির পাকে পড়ে কালো হবেন। মিমি, দেব, শুভশ্রী সে যেই হোক না কেন।
advertisement
তিনি আরও বলেন, “যদি মিমি চক্রবর্তী ডাক পেয়ে থাকেন তলবের নোটিশ পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি সারা দেবেন।” মিমি চক্রবর্তীকে ইডির তলবের পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার বাংলায় অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ডিএনএ-তে সমস্যা রয়েছে। তারা একদিকে অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা করে দেয়, আবার অন্যদিকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে।”
আরও পড়ুন: নেপালে ভারতের ১০০ টাকার ‘মূল্য’ কত জানেন…? গ্যারান্টি, শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তরে’!
সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির পুরনো অভিযোগগুলোকেই আরও একবার সামনে নিয়ে এল। সুকান্তের এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, বিজেপি বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির মতো ইস্যুগুলোকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। মিমি চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় মুখকে ইডির তলব করার ঘটনাকে সামনে এনে বিজেপি রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরও জোরালো করার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরনের ইস্যুগুলি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াবে। তবে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে বাংলা বাঙালির পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীও যে বড় মাত্রা দিতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। অপরদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বালি থেকে বেটিং চক্র নিয়ে কতখানি তদন্তে সাফল্য লাভ করে সেটাও দেখার।