যদিও বিতর্ক ও আরও প্রশ্ন এড়াতে সুকান্ত মজুমদার নিজেকে কর্মী আর দিলীপ ঘোষকে 'স্টার ক্যাম্পেনার' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, 'দিলীপ দা আমাদের স্টার ক্যাম্পেনার। আমি একজন কর্মী। দিলীপ দা, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সকলেই স্টার ক্যাম্পেনার। সকলেই আসবেন। আমি কাজ শুরু করেছি। একে-একে সবাই আসবেন। বিজেপির মধ্যে সকলেই একসঙ্গে কাজ করেন।'
advertisement
দলের নতুন রাজ্য সভাপতি যখন একথা বলছেন, তখন দিলীপ ঘোষ কার্যত নিষ্প্রভ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় এদিন তাঁকে দেখা যায়নি। ইকো পার্কের প্রাতঃভ্রমণ সেরে দিলীপ বলেন, 'আমি এখানেই আছি। আমাকে যখন ডাকবে, তখন যাব। আমি বলে রেখেছি তা।' নতুন দায়িত্ব হিসেবে দিলীপকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেও দিলীপ বলেন, 'সর্বভারতীয় স্তরে আমাকে যে পদ দেওয়া হয়েছে, সেখানেও আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, করব। নাড্ডাজি আমাকে সেই দায়িত্ব সম্পর্কে জানাবেন।'
রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পরই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar on Dilip Ghosh) বলেছিলেন, 'দিলীপ ঘোষ যেখানে ছেড়ে গিয়েছেন, সেখান থেকে আমি শুরু করব', বিজেপি রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই এমন বার্তায় অনেকেই সৌজন্যের বার্তাই পেয়েছেন। একইসঙ্গে সুকান্ত জুড়েছেন, 'রাজ্য সভাপতি হিসেবে বিজেপির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে দিলীপ ঘোষের নাম।'
আরও পড়ুন: মমতার ডেরায় 'বাধার' মুখে সুকান্ত! প্রিয়াঙ্কার জয় আনতে সেই একই 'অস্ত্রে' শান নতুন সেনাপতির
প্রসঙ্গত, হঠাৎ করেই রাতারাতি নাটকীয় রদবদল ঘটেছে বঙ্গ বিজেপিতে। বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের অনুমান ফলে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিদের মধ্যে একজন হিসেবে জায়গা দেওয়া হয়েছে। আর রাজ্য সভাপতির পদে বসেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলছেন, "কলকাতা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরের একজন সাধারণ কর্মীকে এমন কাজের দায়িত্ব দেওয়াটা বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। এর জন্য অমিত শাহ, বিএল সন্তোষ, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে আমি ধন্যবাদ জানাই।" কিন্তু সব কিছুর পরেও দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। দিলীপ ঘোষ কি তাহলে পদ হারিয়ে ক্ষুন্ন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।