আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে (Nodakhali Blast) সেটি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই সাংসদ অভিষেকের নামও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। তিনি লিখেছেন, ‘আমি আবেদন করছি, আপনি এনআইএ (NIA investigation on Nodakhali Blast) তদন্তের নির্দেশ দিন। কেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে বারবার বিস্ফোরণ ঘটছে? কারা এর পিছনে রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা উচিৎ।’
advertisement
দলের রাজ্য সম্পাদকের সুরেই সুর মিলিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sukanta Majumdar Suvendu Adhikari। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বারুদের স্তূপে বসে রয়েছে বাংলা। এখানেই না থেমে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, “তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। উপরতলার নির্দেশে পুলিশও সরে দাঁড়িয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এনআইএকে দিয়ে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।” নোদাখালি বিস্ফোরণ নিয়ে একটি ট্যুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: ‘নের্তৃত্ব স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়’, প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় রাহুল! মুখ তবে মমতাই?
তাঁর ট্যুইটে শুভেন্দু (Sukanta Majumdar Suvendu Adhikari) লেখেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের এই ভয়ঙ্কর ছবি;…যেখানে একটি বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ঘটে। মানুষ মারা গিয়েছে। বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। গোটা এলাকা সন্ত্রাসের কবলে। এই জেলাটি ধীরে ধীরে জেএমবি জঙ্গী ও জিহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে নোদাখালি এলাকা (Nodakhali Blast)। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। অবৈধ বাজি কারখানায় জমে থাকা বাজি তৈরির মশলা থেকেই এই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। এদিন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোদাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালেই বিস্ফোরণের এলাকাটি পরিদর্শনে আসে ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। আক্রান্ত দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলটি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
