তিনি বলেন, ‘‘ওপার বাংলা থেকে আসা দলিতদের জন্য আগে কেউ ভাবেননি, এই প্রথম নরেন্দ্র মোদি তাঁদের কথা ভেবেছেন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্যে দেশভাগের ইতিহাস টেনে এনেছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘এসসি সমাজের মানুষ যোগেন মণ্ডলের উপরে বিশ্বাস করে পূর্ব পাকিস্তানে থেকেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ইজ্জত বাঁচাতে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে এপারে পালিয়ে এসেছিলেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন : রাশিয়ার তেল-টেল নয়…মোদির উপরে রেগে যাওয়ার ‘আসল’ কারণ এটাই…ফাঁস করলেন আমেরিকার নেতা
তাঁর মতে, এরপর থেকেই দলিত ভাই-বোনেরা ক্রমাগত অত্যাচারিত হয়ে ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “সেকুলারিজম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে, যতক্ষণ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, নচেৎ থাকবে না।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আবেদনের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে আসা অমুসলিম শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আর একটু বিষয় এক্ষেত্রে আজ সভা মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নাগরিকত্ব সম্পর্কিত ফরেন এক্ট-এ আজ যে বদল আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নোটিফিকেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে কোনও হিন্দু আক্রান্ত হলে বা তাঁর ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হলে তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন। সুকান্ত বলেন, ‘‘এই শরণার্থীরা ১৯৪৭ সাল থেকে ক্রমাগত ভারতে আসছেন এবং তাদের উপর, বিশেষ করে মহিলাদের উপর, ক্রমাগত অত্যাচার করা হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে তাঁরা ভারতে আসছেন, কিন্তু কেউ তাঁদের কথা ভাবেনি। প্রথম নরেন্দ্র মোদি ভেবেছেন এবং সিএএ আইন পাশ করিয়েছেন।”