এক ভিডিও বার্তায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসীদের বিরোধী। এর আগেও রাজ্যের শাসক দলের এক মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে যেভাবে 'কু-কথা' বলেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে আদিবাসী মহিলাদের স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে যেভাবে দণ্ডী কাটিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে জোর করে যোগদান করাল তাতে ফের আরও একবার প্রমাণ হল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আদিবাসীদের বিরোধী। এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। আগামী দিনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এর জবাব দেবে।’’
advertisement
দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যজুড়েই চলছে যোগদান পর্ব। বিশেষ করে বিজেপির নজরে আদিবাসী সম্প্রদায়। বিগত নির্বাচনে আদিবাসীদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। একদিকে এখন আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির। ঠিক তখনই শাসক দলের নজরেও আদিবাসী সমাজ। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি এবং ফের তৃণমূলে আদিবাসী মহিলাদের ফিরে যাওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে যেভাবে বিজেপিতে যোগদান করার পর তপন এলাকার ওই আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূলে রাস্তায় দণ্ডী কাটিয়ে ঘরওয়াপসি করা হল, এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে আদিবাসীদের বিরোধী, সে ব্যাপারে জোর প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।