অন্যদিকে রাজ্য সরকারি হাসপাতালে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই আদালত থেকে সম্মতিও মিলেছে তাদের। তদন্তকারী আধিকারিকরা চান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড ‘ফিট’ ঘোষণা করলে, সেই হাসপাতালেই নমুনা সংগ্রহ করুক ফরেনসিক।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ইঁদুরের গর্ত’ খোঁড়া চালু…! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ঠিক কী চলছে এই মুহূর্তে? জানুন আপডেট
এবার প্রশ্ন, ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ হবে কী ভাবে? সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে স্থির করা হয়েছে একটি রূপরেখা। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবারই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবারই গঠন করা হবে মেডিক্যাল বোর্ড। কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, ইএনটি’র চিকিত্সককে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হবে বলে আদালতের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের জন্য বড় সুখবর! রান্নার তেলের দামে বাম্পার পতন! রেট কত হল? দেখুন তালিকা
নির্দিষ্ট দিনে ইডি’র অ্যাম্বুল্যান্সে এসএসকেএম থেকে জোকা নিয়ে যাওয়ার হবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। নজরদারিতে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীরা। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল বোর্ড সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ‘ফিট’ বললে তত্ক্ষণাত্ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: ১০ মিনিটেই সাদা চুল কুচকুচে কালো! রইল দুর্দান্ত ৩ সহজ ‘ঘরোয়া’ উপায়…
যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, মেডিক্যাল বোর্ড কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ‘কাকু’কে ফিট বলে দিয়েছে। অথচ নমুনা সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সময় দিতে পারছেন না, এমন পরিস্থিতিতে ইএসআই জোকাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ভর্তি রেখে নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহর কাজ হয়ে গেলে সুজয়কৃষ্ণকে আবার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, ই ডি সূত্রের খবর, এই মামলায় রাহুল বেরা নামে এক সাক্ষীকে মোবাইলে তথ্য ডিলিটের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু জেরায় সেই বিষয়টি অস্বীকার করছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তাই দুই কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।
ওঙ্কার সরকার