'আজকে ইডি বেশ কয়েকটা জায়গায় রেড করেছে। তাতে গার্ডেনরিচে নাসির খান নামে একজন আছে। তার কাছ থেকে পাঁচ কোটি, সাত কোটি, এখন শুনছি ১৫ কোটির বেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। গার্ডেনরিচের নাসির খান পরিবহণ ব্যবসায়ী। তার কাছে টাকা পাওয়া গেলে আগের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কপালে ভাঁজ কেন?' শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এসে এই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতার সুজন চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে আর কি কি বললেন তিনি?
advertisement
এদিন কালনায় নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। সেখানেই গার্ডেনরিচে বিশাল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এই মন্তব্য করেতিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ফিরহাদ চোর। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর তালিকা দিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা অনুযায়ী ইডি সিবিআই ঘোরাঘুরি করছে। ফলে সবাই সব জানে। অপরাধী যে সে ধরা পড়বেই। ৮ কোটি, ২০ কোটি, ৫০ কোটি টাকা খোলামকুচি নাকি! যত বড় নেতা তত বড় চোর আর যত বড় নেতার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, তত বেশি টাকা! এই কালো টাকার রাজত্ব গত ১০-১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে চলছে। তার শীর্ষে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। টাকার ৭৫ ভাগ কালীঘাটের পিসির ভাইপোর। ফিরহাদ হাকিমের কপালে ভাঁজ জমেছে।'
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ-বেলঘড়িয়ার সঙ্গে জোর টক্কর গার্ডেনরিচের! দশ ঘণ্টায় মিলল ১৮ কোটি
শনিবার সকাল থেকেই গার্ডেনরিচের বাসিন্দা আমির খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ আমির খানের বাবা নাসির খান পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী৷ এই আমিরের বিরুদ্ধে গেমিং অ্যাপ খুলে সাধারণ মানুষের ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে৷ এ দিনের তল্লাশিতে আমির খানের বাড়ি থেকে অন্তত ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি৷
ফিরহাদ হাকিম অবশ্য তাঁর সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর পরিচয়ের কথা অস্বীকার করেছেন৷ ফিরহাদ হাকিম ওই এলাকার বিধায়ক৷ টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী বলেন, 'বন্দর এলাকায় হাজার হাজার ব্যবসায়ী আছে৷ তাঁরা প্রত্যেককে কি আমি চিনি? এসব পাগলের মতো কথা৷'