এ দিন সন্ধ্যায় কুণালকে তাঁর বাড়িতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সুদীপ৷ সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই সোমবার সন্ধ্যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ৷ তবে শুধু দার্জিলিং চা নয়, কুণালের আতিথেয়তায় তার সঙ্গে ফিশ ফ্রাই, কুকিজ, কেক এবং জলভরা সন্দেশেরও ব্যবস্থা রেখেছিলেন সুদীপ এবং তাঁর বিধায়ক ঘরণী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: তাঁকে বোঝাতে গেলেন কুণাল, তখনই এল শো কজ নোটিস! তাপস বললেন, ‘এটাই তো দল’
advertisement
ঘটনাচক্রে এ দিনই তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন তাপস রায়৷ বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি৷ কুণালের মতো তাপসও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন৷ এ দিন তাপসের ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুণালকে ফোন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এ দিন তাপস রায়ের ইস্তফা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি শুধু বলেন, ‘আমি গত চারদিন ধরে অনেক কিছুই শুনেছি৷ কিন্তু কোনও মন্তব্য করিনি, আজও করব না৷’
এ দিন দুপুরে কুণাল নিজেই জানান, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেছিলেন৷ কুণাল বলেন, সুদীপদা অনেক সিনিয়র নেতা৷ তিনি আমাকে ফোন করে ভুল স্বীকার করেছেন৷ একজন কর্মী হিসেবে আমার এর পর আর কিছু বলার থাকতে পারে না৷’
তবে কুণাল একা নন, এ দিন উত্তর কলকাতায় দলের অন্যান্য বিক্ষুব্ধ নেতারাও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন৷ তাপস রায় দল ছাড়ার পরই কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে তৈরি হওয়া সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ কারণ শেষ পর্যন্ত তাপস রায় জল্পনাকে সত্যি করে বিজেপিতে যোগ দিলে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷